হালুয়াঘাট উপজেলার ধারা ইউনিয়নে অবস্থিত মাঝিয়াইল মাদরাসার বড় সভা থেকে অনেক মহিলার গলার চেইন চুরি হয়েছে। গত ৩রা জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সভায় এ ঘটনা ঘটে।
Priyohaluaghat প্রিয় হালুয়াঘাট
সূত্র জানায়, মাঝিয়াইল গ্রামের শামীম মুন্সীর স্ত্রী, ধারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরফান আলীর স্ত্রী, মহর উদ্দীনের মেয়ে, ওয়ালটন শোরুমের মালিক ফারুক মিয়ার স্ত্রী, মাঝিয়াইল মাদরাসার তালিমাত মাওঃ নজরুল ইসলামের পুত্রবধু, আবু বাক্কারের স্ত্রী, লাল খার স্ত্রী, আঃ রশিদের স্ত্রী ও ধারাকান্দা এলাকার আব্বাস আলীর স্ত্রীর গলার চেইন চুরি হয়েছে।
ধারা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের পিছনে বাড়ি নাম না জানা এক মহিলার চেইনও চুরি হয়েছে বলে জানান সভায় উপস্থিত আরফান আলীর মেয়ে ইফরাত জাহান শামীমা।
এছাড়াও টিকুরিয়া গ্রামের কয়েকজন মহিলা এমন অবস্থার স্বীকার হয়েছেন বলে জানান মাহমুদুল হাসান আপেল। তিনি বলেন, আমার খালার বাড়ি ঐখানে। মায়ের কাছে একটু আগে এই ঘটনার কথা শুনলাম। কিছু মহিলাকে ঔষধ প্রয়োগে অবচেতন করে গয়না চুরি করা হয়েছে।
ওয়ালটন শোরুমে কর্মরত আব্দুর রহমান জানান, আমাদের শোরুমের মালিক ফারুক মামার স্ত্রীর গলার চেইন চুরি হয়েছে।
ছবি: জলিল এন্টারপ্রাইজের মালিক ফারুক মিয়া
জলিল এন্টারপ্রাইজ নামক আইডি থেকে সতর্কবার্তা প্রকাশ করে লেখা হয়েছে- “বর্তমান শীতকালীন সিজন। প্রায় জায়গাতে মহিলাদের ধর্মীয় সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রায় মহিলা সভাগুলোতেই শত শত এমনকি হাজার হাজার মহিলা উপস্থিত থাকেন। আমাদের গ্রামের মহিলাগণ সহজ সরল প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরই সুযোগ নিয়ে একদল ছিনতাইকারী মেয়েদের হাতমোজা পা-মোজা এমনকি বোরকা পড়ে মহিলা সেজে শত শত মহিলাদের মাঝে ঢুকে পড়ে, মহিলাদের কাছ থেকে পকেটমারের মত কৌশলে খুলে নিচ্ছে শত শত মহিলাদের স্বর্ণের চেইন এমনকি সোনার হারসহ আরো অনেক কিছুই। এই তো গত একদিন আগের ঘটনা। আমাদের মাঝিয়াইল মাদরাসার মহিলা সভা থেকে প্রায় আনুমানিক ২০ /২৫ জনের সোনার চেইন নিয়ে গেছে এবং বালিয়া মাদ্রাসার ও একই রকম ঘটনা প্রায়।”
মাঝিয়াইল গ্রামের নুসরাত লিমা জানান, আমার মায়ের স্বর্ণের চেইন চুরি হয়েছে মাঝিয়াইল মাদরাসার মহিলা সভা থেকে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল মহিলাদের সতর্ক করা।
ধারা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরফান আলী বলেন, মাত্র ৩ দিন আগে অনুষ্ঠিত বালিয়া মাদরাসার সভায় যেহেতু এমন চুরির ঘটনা ঘটেছিল, সেহেতু মাঝিয়াইল মাদরাসার মাহফিল কর্তৃপক্ষের মাহফিল শুরু হওয়ার আগে এই বিষয়ে মহিলাদেরকে সতর্ক করা উচিত ছিল এবং মহিলা ভলান্টিয়ার নিযুক্ত করা উচিত ছিল। কিন্তু এত বড় ঘটনা ঘটার পরও মাহফিল কর্তৃপক্ষের কোন দায় নেই। সত্যিই ঘটনাটি আমাদের গ্রামের জন্য খুবই অশোভনীয়।
তিনি আরো বলেন, আমার পরিচিতই যেহেতু এক-দুই জন না, পরিচিতই ১০ জনের বেশি! তাহলে অপরিচিত তো আরও অনেকেই আছেন যাদের ঠিকানা এবং নাম জানা যায়নি। তাদের সাথেও একই ঘটনা হয়েছে। আনুমানিক বলতে পারি ২০ থেকে ২৫ জনের গলার সোনার চেইন চুরি হয়েছে। বিষয়টি ছোট করে দেখার নয়।
মাওলানা সাদিকুল ইসলাম জানান, প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা শুনে বুঝেছি যে, সভার ভেতরে হুজুর যখন কালেকশন করেন, ওই সময় মহিলারা হুজুরের কাছে টাকা দিয়ে ফেরার পথে জটলা সৃষ্টি হয়। সেই ভিড়ের মধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটেছে।
ময়মনসিংহ দর্পণ থেকে নেওয়া