Priyohaluaghat প্রিয় হালুয়াঘাট
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান সিন্দুকে ৩ মাস পর মিলেছে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। যা দান সিন্দুকে পাওয়া এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ দানের টাকা।
আরো মিলেছে বৈদেশিক মুদ্রা পাউন্ড, রিয়াল, দিনার, রিঙ্গিত ও দিনারসহ বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার।
শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে আটটি দান সিন্দুকগুলো খুলে টাকা গণনা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ তথ্য জানা যায়।
এর আগে এ বছরের ২ জুলাই সর্বশেষ দান সিন্দুক খোলার পর ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছিল।
সকালে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এটিএম ফরহাদ চৌধুরীর নেতৃত্বে সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, প্রশাসনের কর্মকর্তা ও মসজিদ কমিটির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আটটি দান সিন্দুক খোলা টাকাগুলো ১৫টি বড় বস্তায় ভরা হয়। এরপর চলে সারাদিনব্যাপী গণনার কাজ। ব্যাংক কর্মকর্তা, কর্মচারী, মসজিদের এতিমখানার ছাত্র ও মাদ্রাসা মসজিদের দুই শতাধিক লোক গণণার কাজে অংশ নেন।
পাগলা মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শওকত উদ্দীন ভূঞা জানান, পাগলা মসজিদের বিপুল পরিমাণের টাকা পাগলা মসজিদ এবং এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের ব্যায় নির্বাহ করাসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব ছাত্র ও দুঃস্থদের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম জানান, মসজিদের টাকা বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি পাগলা মসজিদের পরিধি বৃদ্ধিসহ আর্ন্তজাতিক মানের ইসলামী কমপ্লেক্স করা হবে।
জানা গেছে, জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকায় অবস্থিত পাগলা মসজিদাট প্রায় চার একর জায়গা জুড়ে অবস্থিত। সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট তিনতলা বিশাল পাগলা মসজিদ কিশোরগঞ্জে অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা। প্রায় পাঁচশত বছর পূর্বে বাংলার বারো ভুঁইয়া অন্যতম ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা নামক একজন ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তীতে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায়।
এ মসজিদে দান করলে মানুষের মনোবাসনা পূর্ণ হয় বলে জনশ্রুতি রয়েছে। তাই দেশ বিদেশের সকল ধর্মের মানুষ সেখানে দান করে থাকেন।
খুব ভালো
উত্তরমুছুন