বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মালিকদের ঐকমত্যের পর লঞ্চভাড়া বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আজ সোমবার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহা. আমিনুর রহমান স্বাক্ষরিত এ প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়। এটি আজ থেকেই কার্যকর হবে।
প্রথম ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি ভাড়া ৬০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা ৩০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রথম ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের জন্য প্রতি কিলোমিটারে জনপ্রতি ভাড়া ৬০ পয়সা বাড়িয়ে ২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন (নৌ রুট পারমিট, সময়সূচি ও ভাড়া নির্ধারণ) বিধিমালা, ২০১৯–এর বিধি ২৭ মোতাবেক সরকার নৌযানে যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রতি কিলোমিটার সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন যাত্রীপ্রতি ভাড়া পুনর্নির্ধারণের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে বিআইডব্লিউটিএর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করল।
গতকাল রোববার বিকেল পৌনে চারটার দিকে মতিঝিলের বিআইডব্লিউটিএ কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে লঞ্চমালিকদের দুটি সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের বৈঠক শুরু হয়। কয়েক ঘণ্টার আলোচনা শেষে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় উভয় পক্ষ।
পরে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক সাংবাদিকদের জানান, ৩৫.২৯ শতাংশ ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। এতে লঞ্চভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ৬০ পয়সা বৃদ্ধি করে ২ টাকা ৩০ পয়সা ও ১০০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বের জন্যও ৬০ পয়সা বৃদ্ধি করে ১ টাকা ৪০ পয়সার পরিবর্তে ২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা করা হয়েছে।
শনিবার ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ভাড়া বাড়ানোর দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নৌপথে লঞ্চ চালাবেন না বলে ঘোষণা দেয় সাধারণ লঞ্চমালিকেরা। তবে লঞ্চমালিকদের সংগঠনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো ঘোষণা দেওয়া হয়নি।
শুক্রবার রাতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থা থেকে বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যানের কাছে ভাড়া শতভাগ বৃদ্ধির প্রস্তাবের চিঠি পাঠানো হয়।