Magspot Blogger Template

গাবরাখালী গারো পাহাড় পর্যটন কেন্দ্র, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত গারো পাহাড়ের ১২৫ একর জমিতে এখানে গড়ে তোলা হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র।

 যতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ অরণ্য। এর মাঝে দাঁড়িয়ে আছে ১৪টি পাহাড়-টিলা। চিন্তামগ্ন একেকটি টিলার কপালে পড়েছে একেক রকম ভাঁজ। উঁচু-নিচু এসব টিলা বেয়ে একটু ওপরে উঠলেই পলক ফেরানো দায়।

প্রিয় হালুয়াঘাট ছবি


উত্তরে তাকালে হাতছানি দেবে মেঘালয় রাজ্যের তুরা পাহাড়। কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে মেঘেদের দল নির্বিঘ্নে ভেসে আসে গারো পাহাড়ে। সীমান্তঘেঁষা এই দর্শনীয় জায়গাটির অবস্থান ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার প্রত্যন্ত অবহেলিত ও পাহাড়বেষ্টিত গাবরাখালি গ্রামে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত গারো পাহাড়ের ১২৫ একর জমিতে এখানে গড়ে তোলা হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র।

প্রিয় হালুয়াঘাট ছবি


সীমান্ত এলাকায় পাহাড়-টিলা অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিয়েছে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন। যার তত্ত্বাবধানে রয়েছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। এখানকার সবুজ অরণ্য, পাখির কলতান আর ছোট ছোট মেঘরাশি—এই তিনে মিলে পর্যটকের মনে তৈরি করে এক মোহময় বিভ্রম। গারো পাহাড়ের ধ্যানমগ্ন এ প্রকৃতি ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে সৌন্দর্যপিপাসুদের কাছে

প্রিয় হালুয়াঘাট 


নাহিদ মন্ডল নামে এক দর্শনার্থী বলেন, এখানে এসে প্রকৃতির খুব কাছাকাছি চলে যাওয়া যায়। ইট-পাথরের নাগরিক জীবন থেকে একটু দূরে গিয়ে যারা সবুজ পছন্দ করি তাদের জন্য এই জায়গাটি খুবই উপযুক্ত। এখানে পাহাড়-টিলা, গাছপালা, নির্মল বাতাস সর্বোপরি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পরিবেশ রয়েছে। যে কারণে এখানে ঘুরতে এসে ভালো লাগছে।

প্রিয় হালুয়াঘাট 


পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্রটিকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য প্রবেশমুখেই রয়েছে সুউচ্চ পাহাড় থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ জলের মনোরম ঝরনাধারা। পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া লেকে রয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ, লেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্যাডেল বোটের ব্যবস্থাও রয়েছে। লেকজুড়েই দেখা গেছে দেশীয় হাঁসের ছোটাছুটি। এছাড়া এই পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে উপজেলা কৃষি অধিদফতরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পাহাড়ে রোপণ করা হয়েছে কাজু বাদাম, আগর (সুগন্ধি), চা ও কফি গাছ।



সরকারের স্থানীয় বিনিয়োগ মডেল অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্র। রয়েছে তিনটি বিশ্রামাগার, একটি রেস্ট হাউস। বিভিন্ন টিলায় ওঠার জন্য আছে সিঁড়ি ও সংযোগ সেতু। তৈরি করা হচ্ছে পার্ক এবং স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনভিত্তিক জাদুঘর। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিজস্ব বিনিয়োগে ফুড পার্ক ও শপিং জোনও থাকছে। প্রায় ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে গড়ে উঠছে শিশু পার্ক।


দৃষ্টিনন্দন এ পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে গড়ে উঠছে দোকানপাট, ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র। ফলে উন্নতি ঘটছে স্থানীয় মানুষের জীবনমানের। মামুন মিয়া নামে এক দোকানদার বলেন, আমরা সীমান্ত এলাকায় বসবাস করি। আগে আমাদের তেমন কাজ ছিল না। কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেছি। এখন পর্যটন কেন্দ্র হওয়াতে এখানে আমি একটি দোকান নিয়েছি। এখানে চটপটি-ফুচকা ও হালিম বিক্রি করছি। যার মাধ্যমে আমার আয় আগের চেয়ে বেড়েছে।



উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই শুরু হবে ওয়াচ টাওয়ার, গ্রুপভিত্তিক সমবায় সমিতির মাধ্যমে ক্যাবল কার ও সুইমিং পুল নির্মাণের কাজ। দৃষ্টিনন্দন এ পর্যটন কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে বদলে যাবে এ অঞ্চলের অর্থনীতি। উপকৃত হবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, তৈরি হবে কর্মসংস্থান।


তিনি বলেন, এখানে নিরাপত্তার জন্য ১৪ জন লোক নিয়োগ করা হয়েছে। যাদের সবাই স্থানীয় লোকজন। আমি মনে করি, এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি বৃহত্তর ময়মনসিংহের একটি বড় রিসোর্সযতদূর চোখ যায় শুধু সবুজ অরণ্য। এর মাঝে দাঁড়িয়ে আছে ১৪টি পাহাড়-টিলা। চিন্তামগ্ন একেকটি টিলার কপালে পড়েছে একেক রকম ভাঁজ। উঁচু-নিচু এসব টিলা বেয়ে একটু ওপরে উঠলেই পলক ফেরানো দায়।


উত্তরে তাকালে হাতছানি দেবে মেঘালয় রাজ্যের তুরা পাহাড়। কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে মেঘেদের দল নির্বিঘ্নে ভেসে আসে গারো পাহাড়ে। সীমান্তঘেঁষা এই দর্শনীয় জায়গাটির অবস্থান ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার প্রত্যন্ত অবহেলিত ও পাহাড়বেষ্টিত গাবরাখালি গ্রামে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত গারো পাহাড়ের ১২৫ একর জমিতে এখানে গড়ে তোলা হচ্ছে পর্যটন কেন্দ্র।



সীমান্ত এলাকায় পাহাড়-টিলা অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিয়েছে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন। যার তত্ত্বাবধানে রয়েছে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন। এখানকার সবুজ অরণ্য, পাখির কলতান আর ছোট ছোট মেঘরাশি—এই তিনে মিলে পর্যটকের মনে তৈরি করে এক মোহময় বিভ্রম। গারো পাহাড়ের ধ্যানমগ্ন এ প্রকৃতি ইতোমধ্যে সাড়া ফেলেছে সৌন্দর্যপিপাসুদের কাছে।


নাহিদ মন্ডল নামে এক দর্শনার্থী বলেন, এখানে এসে প্রকৃতির খুব কাছাকাছি চলে যাওয়া যায়। ইট-পাথরের নাগরিক জীবন থেকে একটু দূরে গিয়ে যারা সবুজ পছন্দ করি তাদের জন্য এই জায়গাটি খুবই উপযুক্ত। এখানে পাহাড়-টিলা, গাছপালা, নির্মল বাতাস সর্বোপরি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমণ্ডিত পরিবেশ রয়েছে। যে কারণে এখানে ঘুরতে এসে ভালো লাগছে।


পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, কেন্দ্রটিকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য প্রবেশমুখেই রয়েছে সুউচ্চ পাহাড় থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ জলের মনোরম ঝরনাধারা। পাহাড়ের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া লেকে রয়েছে ঝুলন্ত ব্রিজ, লেকে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য প্যাডেল বোটের ব্যবস্থাও রয়েছে। লেকজুড়েই দেখা গেছে দেশীয় হাঁসের ছোটাছুটি। এছাড়া এই পর্যটন কেন্দ্রের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে উপজেলা কৃষি অধিদফতরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পাহাড়ে রোপণ করা হয়েছে কাজু বাদাম, আগর (সুগন্ধি), চা ও কফি গাছ।


সরকারের স্থানীয় বিনিয়োগ মডেল অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে এই পর্যটন কেন্দ্র। রয়েছে তিনটি বিশ্রামাগার, একটি রেস্ট হাউস। বিভিন্ন টিলায় ওঠার জন্য আছে সিঁড়ি ও সংযোগ সেতু। তৈরি করা হচ্ছে পার্ক এবং স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর জীবনভিত্তিক জাদুঘর। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিজস্ব বিনিয়োগে ফুড পার্ক ও শপিং জোনও থাকছে। প্রায় ৩০ লাখ টাকা বিনিয়োগের মাধ্যমে গড়ে উঠছে শিশু পার্ক।


দৃষ্টিনন্দন এ পর্যটন কেন্দ্রকে ঘিরে গড়ে উঠছে দোকানপাট, ব্যবসা-বাণিজ্য কেন্দ্র। ফলে উন্নতি ঘটছে স্থানীয় মানুষের জীবনমানের। মামুন মিয়া নামে এক দোকানদার বলেন, আমরা সীমান্ত এলাকায় বসবাস করি। আগে আমাদের তেমন কাজ ছিল না। কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেছি। এখন পর্যটন কেন্দ্র হওয়াতে এখানে আমি একটি দোকান নিয়েছি। এখানে চটপটি-ফুচকা ও হালিম বিক্রি করছি। যার মাধ্যমে আমার আয় আগের চেয়ে বেড়েছে।


উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই শুরু হবে ওয়াচ টাওয়ার, গ্রুপভিত্তিক সমবায় সমিতির মাধ্যমে ক্যাবল কার ও সুইমিং পুল নির্মাণের কাজ। দৃষ্টিনন্দন এ পর্যটন কেন্দ্রটি পূর্ণাঙ্গভাবে চালু হলে বদলে যাবে এ অঞ্চলের অর্থনীতি। উপকৃত হবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, তৈরি হবে কর্মসংস্থান।


তিনি বলেন, এখানে নিরাপত্তার জন্য ১৪ জন লোক নিয়োগ করা হয়েছে। যাদের সবাই স্থানীয় লোকজন। আমি মনে করি, এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি বৃহত্তর ময়মনসিংহের একটি বড় রিসোর্স হবে এই পর্যটন কেন্দ্র। হবে এই পর্যটন কেন্দ্র।

Priyo Haluaghat

প্রধান সম্পাদক: Saad Mahmud © ২০২১ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। priyohaluaghat। ফোন- +৮৮০১৯৩৮১৮৭৬৭৯। ইমেইল- priyohaluaghat@gmail.com

আপনার ইতিবাচক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ

নবীনতর পূর্বতন

ads

Magspot Blogger Template

ads

Magspot Blogger Template
Magspot Blogger Template

نموذج الاتصال