Priyohaluaghat
সাআদ মাহমুদঃ
নিখোঁজের ৪ দিন পর বাক-প্রতিবন্ধী মেয়েকে খুঁজে পেয়েছে তাঁর পরিবার। গত সোমবার জামালপুর জেলা শহরের ফেরিঘাট এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় বীণা খাতুন (১০) নামে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক মেয়ে। পরে গত বৃহস্পতিবার মেয়েটিকে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয়। গত শুক্রবার রাত ১ টায় মেয়েটির পিতা আনোয়ার হোসেনের কাছে মেয়েটিকে হস্তান্তর করেছে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার জামালপুর জেলা শহরের ফেরিঘট এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় জেলে আনোয়ায়ার হোসেনের মেয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি বিনা খাতুন। পরে গত বৃহস্পতিবার মেয়েটি কোন ভাবে এসে নালিতাবাড়ী শহরে পৌছে। মেয়েকে হারিয়ে পিতা আনোয়ার সম্ভাব্য স্থানগুলোতে খুঁজতে থাকেন এবং আশেপাশের উপজেলা গুলোতে মাইকিং করান।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে নালিতাবাড়ী বাজারে মেয়েটিকে কান্নাকাটি করতে দেখেন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত প্রান্তিক। মেয়েটি বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি হওয়ায় তাঁর নাম ও ঠিকানা বলতে পারছিলো না। পরে তিনি মেয়েটির ছবিসহ পরিবারের সন্ধান চেয়ে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেন৷
পরে প্রান্তিকের পোস্ট দেখে গত শুক্রবার রাতে পার্শ্ববর্তী নকলা উপজেলার প্রতিবন্ধি কল্যাণ সংস্থার শামীম নামের এক ব্যক্তি যোগাযোগ করেন। পরে রাত ১ টার দিকে মেয়েটির পিতা আনোয়ার হোসেনের কাছে মেয়েটিকে হস্তান্তর করেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক।
মেয়েটির বাবা আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি গরিব মানুষ। মাছ ধরে সংসার চালাই। আমার মেয়েটি প্রতিবন্ধি। মেয়েটারে হারাইয়া পাগল হইয়া গেছিলাম। ৪ দিন পর মেয়েটারে খুঁইজা পাইছি৷ ওসি স্যার যাতায়াতের জন্য দুই হাজার টাকা ও খাবার কিন্না দিছে।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দেখে মেয়েটির খোঁজ পাই। পরে গত শুক্রবার রাত ১ টার দিকে মেয়েটিকে তার পিতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মেয়েটি কথা বলতে না পারলেও পিতাকে জড়িয়ে মেয়েটির আনন্দ দেখে আমরা আবেগাপ্লুুত হয়েছি।