হালুয়াঘাটের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়ী উন্নয়ন সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সুন্দরভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এতে সভাপতি পদে ছাতা প্রতীক নিয়ে নাদিম আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক পদে খেজুর গাছ প্রতীক মো. সাজ্জাদ হোসেন বাচ্চু বিজয়ী হয়েছেন।
জানা যায়, গত ২২ শে অক্টোবর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে হালুয়াঘাট ব্যবসায়ী উন্নয়ন সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটাররা শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের ভোট প্রয়োগ করে। এতে সভাপতি পদে নাদিম আহমেদ ছাতা প্রতীক নিয়ে ৫৪৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. শাহাব উদ্দিন ওমর সাকী চেয়ার প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫০৫ ভোট। সহ-সভাপতি পদে মো. আবু বকর সিদ্দিক মোল্লা চাকা প্রতীক নিয়ে ৪৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আলমগীর হোসেন কলসি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৩৭৮ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মো. সাজ্জাদ হোসেন বাচ্চু খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে ৬৫৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. দেওয়ান তাওহীদ শাহীন মোরগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১৭৮ ভোট। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে জসিম উদ্দিন ভুইঁয়া মই প্রতীক নিয়ে ৫৮২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. নাজমুল আলম উসমান আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২৯০ ভোট। শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মো. শাহাব উদ্দিন রতন দোয়াত-কলম প্রতীক নিয়ে ৫০৭ ভোট পেয়েছে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আলমগীর হোসেন গোলাপফুল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪৬১ ভোট। ক্রীড়া সম্পাদক পদে মো. তাজিকুল ইসলাম ফুটবল প্রতীক নিয়ে ৫৭৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. আল আমিন উড়োজাহাজ প্রতীক নিয়ে পেয়েছে ৩৪০ ভোট। এছাড়াও সম্মানিত সদস্য পদে মো. মফিজুল ইসলাম বেগ তারা প্রতীক নিয়ে পেয়েছে ৬৮১ ভোট, মো. মনিরুজ্জামান মানিক জগ প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৭৯ ভোট এবং শেখ সাদির টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে ৫৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
নির্বাচন প্রিজাইডিং অফিসার মো. আব্দুল কাদির এর স্বাক্ষরিত ফলাফল ঘোষনায় এ তথ্য পাওয়া যায়। জানা যায়, সাংগঠনিক দুটি পদে একাধিক প্রার্থী না থাকায় দুজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। তারা হচ্ছেন, দপ্তর সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম মনির ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম। অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহনে একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছিলো। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ, নির্বাচন কমিশনার প্রভাষক সুলতান আহমদ ও প্রভাষক মো. আলমগীর হোসেন পাভেল।
উল্লেখ্য যে, ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠানটি অনেক চড়াই-উৎরাই মধ্য দিয়ে স্ব-গৌরবে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এবারের তিন বছর মেয়াদি পরিষদকে সাতটি পদের বিপরীতে বিশ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ১১৬৬ জন বৈধ ভোটার (পুরুষ- মহিলা) ভোট প্রয়োগ করে।
